
নুরুল করিম রাসেল :
দৃষ্টিনন্দন কাঠের হাউজবোটটি পর্যটকদের নিয়ে ঘুরে বেড়াবে বাঁকখালী নদী হয়ে সোনাদিয়া দ্বীপ, মহেষখালীর শামলাপুর হয়ে আবার বঙ্গোপসাগরের লাবনী পয়েন্টে। সাগর-নদী ভ্রমণের আনন্দের সাথে থাকবে মুখরোচক খাবার দাবার। এছাড়া বোটটিতে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করার যে স্বপ্ন তা অবশেষে বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে-এমনটিই বলছিলেন পর্যটন উদ্যোক্তা হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর।
চলতি মাসের শেষের দিকে ‘স্বপ্নতরী’র যাত্রা শুরু হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের ভ্রমণে নতুন মাত্রা যোগ করার লক্ষ্য নিয়েই এমন উদ্যোগ। দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত যত্নের সাথে হাউজবোটটি তৈরী করা হয়েছে। কাঠের তৈরি নৌযানটির ধারণক্ষমতা ১৪৬ জন। এটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে মহেশখালীর সোনাদিয়া, শাপলাপুর পয়েন্ট ঘুরে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট হয়ে ঘাটে ফিরবে। আর সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাকখালী নদীর কস্তুরা ঘাট নতুন সেতু হয়ে নাজিরারটেক নতুন এয়ারপোর্ট রানওয়ে হয়ে মহেশখালীর আশপাশে ঘুরে ঘাটে ফিরবে।
নৌযানটিতে সবসময় ট্যুরিস্ট পুলিশ থাকবে। থাকবে আনসার সদস্য। পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট, লাইফ বয়া ও অগ্নিনির্বাপকসহ যাবতীয় সরঞ্জাম মজুদ থাকছে। প্রাথমিকভাবে সকালের যাত্রায় দুপুরের খাবারসহ জনপ্রতি ১৬০০ টাকা নেওয়া হবে। দুপুরের খাবারে থাকবে চিংড়ি, মুরগি, সবজি, ডাল, সালাদ, কোল্ড ড্রিংকস। সন্ধ্যার যাত্রায় জনপ্রতি দুই হাজার টাকা। রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্থানীয় পিঠাসহ কয়েক রকমের খাবার থাকবে।
এদিকে পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, কক্সবাজারের পর্যটন খাতের আকর্ষণ ধরে রাখতে হলে এই ধরনের নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।